পহেলা বৈশাখ। ১৪২৭ বঙ্গাব্দ কড়া নাড়ছে আমাদের দরজায়। কিন্তু অন্যান্য বছরের মতো এ বছর নতুনকে বরণ করে নেওয়ার উৎসবে মেতে উঠবে না বাঙালি জাতি। বৈশাখকে বরণ করে নেওয়া গানের সুরে ভরে উঠবে না রমনার বটমূল। বেঁচে থাকাই যেখানে অনিশ্চিত সেখানে বর্ষবরণ উৎসব বেমানান।
নভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এবং আতঙ্কে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বের মানুষ আজ ঘরে বন্দি। অফিস-আদালত, দোকানপাট সব বন্ধ থাকায় রাস্তায় নেই লোকজনের যাতায়াত। এই পরিস্থিতি একদিকে যেমন ভাইরাস সংক্রমণ থামাতে আবশ্যক, অন্য দিকে আবার অনেকের জন্যেই আর্থিক সমস্যার কারণ।
আমরা সবাই-ই কোনো না কোনোভাবে এই পরিস্থিতির শিকার। তবে ভুক্তভোগীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে রেখেছেন ড্রাইভাররা। রোজকার জীবনে প্রায় প্রতিদিনই যারা ঢাকার জ্যাম ঠেলে শান্তিতে যাতায়াত করতে আমাদের সাহায্য করেন, তারা এখন ভুগছেন পর্যাপ্ত আয়ের অভাবে। রাস্তায় লোকজন নেই, তাই যাত্রীও নেই।
আমাদের এই বিজ্ঞাপন মাধ্যমটি অনেকাংশেই গড়ে উঠেছে এই ড্রাইভারদের কেন্দ্র করে, যাদের সহযোগিতার জন্য আমরা সবসময়ই কৃতজ্ঞ। সেই কৃতজ্ঞতাটা হয়তো প্রকাশ করা হয়ে ওঠে না তেমন একটা। কিন্তু এই মহামারী আমাদেরকে সুযোগ এনে দিয়েছে তাদের জন্য কিছু করার, সঙ্কটের সময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর।
তাই নতুন বছরে আমাদের পরিশ্রমী ড্রাইভার ও তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর উদ্দেশ্যে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। এই পহেলা বৈশাখ স্টিকার ড্রাইভারের পক্ষ থেকে ঢাকায় বসবাসকারী ড্রাইভারের মধ্যে বিতরণ করা হবে নববর্ষের উপহার। একটি পরিবারের জন্যেও যদি তা সামান্যতম আনন্দ বয়ে নিয়ে আসতে পারে, সেখানেই আমাদের সার্থকতা।
নতুন বছর সবার জন্য ফিরিয়ে আনুক আনন্দের দিনগুলো, এই কামনায়!